র্যাব ৫ এর অভিযানে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ রাত ১০ ঘটিকায় নওগাঁ
জেলার সদর থানাধীন পৌরসভা¯’ পুরাতন মাছ বাজার (মসল পট্টি) কাজী
মার্কেটের তৃতীয় তলায় ভাড়াকৃত গোডাউন হতে ৫৫৩.৭ কেজি অবৈধ
বিস্ফারকসহ ব্যবসায়ী
(ক) শ্রী রুপম কুমার (৩৫), পিতা-শ্রী নিবারণ
চন্দ্র বর্মণ, সাং-জোতহরি, থানা-মহাদেবপুর, জেলা-নওগাঁ কে গ্রেফতার করা
হয় এবং পলাতক আসামী
(খ) মোঃ সালাউদ্দিস বিহারী(৪৫), পিতা-মৃত শামছুল
হক, সাং-খাস নওগাঁ (মরাকাঠি), থানা ও জেলা- নওগাঁ।
গ্রেফতারকৃত আসামী রোপম একজন চিহ্নিত অবৈধ বিস্ফোরক
ব্যবসায়ী। সে সিলেট, শায়েস্তাগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কুরিয়ার
সার্ভিসের মাধ্যমে চা পাতার নাম করে অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহ এবং
নওগাঁ ও পার্শ্ববর্তী জেলার সীমান্ত এলাকা হতে অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্য
সংগ্রহ করতঃ সালাউদ্দিন এর সাথে যোগসাজসে নওগাঁসহ পার্শ্ববর্তী
জেলাসমুহে ও দেশের বিভিন্ন স্থানে খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো বলে
জানা যায়।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর
গোয়েন্দা দল রোপম ও সালাউদ্দিন এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৫-০৯-২৪ তারিখ রাত ১০ ঘটিকায় নওগাঁ জেলার সদর
থানাধীন পৌরসভা¯’ পুরতান মাছ বাজার (মসলা পট্টি) কাজী মার্কেটের
তৃতীয় তলায় র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান
পরিচালনাকালে রোপম এর ভাড়াকৃত গোডাউনে অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্য ক্রয়-
বিক্রয়ের সময় হাতেনাতে আটক করে এবং সালাউদ্দিন কৌশলে পালিয়ে যায়।
আটক কৃত আসামী রোপম প্রকাশ্যে স্বীকার করে যে, সে এবং পলাতকআসামী সালাউদ্দিন দীর্ঘদিন যাবত নাশকতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের কাজে
ব্যবহৃত বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি অবৈধভাবে সংগ্রহপূর্বক
ভাড়াকৃত নিজ নিজ গোডাউনে রেখে বিক্রয় করে আসছিল যা বিস্ফোরক
দ্রব্যাদি আইন-১৯০৮ অনুযায়ী অপরাধযোগ্য। পরবর্তীতে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের
উপস্থিতিতে রোপম ও সালাউদ্দিন এর গোডাউনে রক্ষিত ৫৫৩.৭ কেজি অবৈধ
বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্য সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে র্যাব-৫,
সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্পের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন-১৯০৮
অনুযায়ী নওগাঁ সদর থানায় একটি মামলা দায়েল করা হয়েছে।