• সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রামরাই দীঘিতে অতিথি পাখির মেলা, দর্শনার্থীদের ভীড় ! ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের কঠোর বাজার মনিটরিং নন্দীগ্রামে ৪টি গরু ও ১টি পিকআপ সহ গরুচোর গ্রেফতার GMKS এর সদস্য হলেনঃ মোঃ হাসান মাহমুদ  নিখোঁজ এর ১ দিন পর সেফটি টেংকি থেকে সবিতা রানীর লাশ উদ্ধার, ২৪ ঘন্টায় রহস্য উদঘাটন করলো ডিবি পুলিশ  শিক্ষার সকল স্তরে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলককরণ❞ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  রাণীশংকৈলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৬ জন বিরামপুরে উদ্ধার হওয়ার শিশুটি এখন মায়ের কোলে!! প্রতিশোধ- প্রতিহিংসা চাই না আমরা শান্তিময় বাংলাদেশ গড়বো রাণীশংকৈলে বিএনপি মহাসচিব ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী  — মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁওয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হলো ঐতিহ্যবাহী কারাম পূজা উৎসব ।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ  / ১৬৬ বার
আপডেট : বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

 

নেচে-গেয়ে উদযাপিত হলো ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব

বিপদ থেকে মুক্তি, অতিবন্যা ও খরা থেকে বাঁচতে দেশ ও মানুষের মঙ্গল কামনায় নেচে-গেয়ে ঐতিহ্যবাহী কারাম পূজা উদযাপন করেছে ঠাকুরগাঁও জেলায় ওরাওঁ সম্প্রদায় । ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালান্দর ইউনিয়নের পাঁচ পীরডাঙ্গায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয় ধর্মীয় উৎসবটি। উৎসবের দিন ওরাওঁ সম্প্রদায়ের মানুষ উপবাস করে কারাম গাছের ডাল কেটে আনেন। সেই ডাল তাদের স্থায়ী পূজামণ্ডপে রেখে পূজা অর্চনা, নাচ-গান ও গল্প বলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব।

কারাম একটি গাছের নাম। ওরাঁও সম্প্রদায়ের মানুষ গাছটিকে পবিত্র এবং মঙ্গলের প্রতীক মনে করেন। এ উৎসবের মাধ্যমে তাদের পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরবে বলে মনে করেন তারা। বাংলা আশ্বিন মাসের শুরুতে এ উৎসবকে ঘিরে ওই এলাকায় বসবাসরত মানুষ নানা আয়োজনে উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন। আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল, ডাল ও টাকা তুলে আতিথিয়েতা করা হয় আমন্ত্রিত অতিথি ও আত্মীয়-স্বজনদের। উৎসবটিকে ঘিরে আগে থেকে নানা প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন এ সম্প্রদায়ের মানুষরা। পরিবার আর আত্মীয়স্বজন নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন সব বয়সী নারী-পুরুষ।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রতি বছর এ ঐতিহ্যবাহী ও সামাজিক দিবসটি পালন করে এখনকার ওরাওঁ সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা। তারা কারাম গাছের ডালকে তাদের রক্ষাকবচ মনে করে। তারা মনে করে গাছটির মাধ্যমে তাদের জীবন রক্ষা হয়। এজন্য প্রতি বছর তারা এ উৎসবটি পালন করে। সারারাত তারা নানা সংস্কৃতি পালনের পর ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার কারাম গাছটি ভাসিয়ে দেবে। কারাম পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ কেরকেটা বলেন, আদিকাল থেকে আমরা কারাম পূজা করে আসছি। এ কারাম বৃক্ষকে পূজা করার মাধ্যমে আমরা মনে করি আমাদের সব বিপদ-আপদ দূর হয়ে যাবে। এ পূজার মাধ্যমে দেশের মানুষের মঙ্গল হবে।

তিনি বলেন, এখানে ২০০৩ সাল থেকে আমরা এ কারাম উৎসবটি পালন করে আসছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এ আয়োজনকে আরও মানসম্মত করতে। কারণ এটি আমাদের বড় একটি ধর্মীয় উৎসব। সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে আমরা ভালোভাবে উৎসবটি পালন করতে পারবো।

 


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরোও সংবাদ