মোস্তফা কামাল মামুন,
নাগেশ্বরী প্রতিনিধি, কুড়িগ্রামঃ
কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নে প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনে দুদিনের সফরে এসেছেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল।
দুদিনের সফরের প্রথম দিন রোববার বিকাল ৩টায় কুড়িগ্রাম শহরের ধরলা ব্রীজের পূর্ব প্রান্তে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল এলাকা এবং সোনাহাটস্হল বন্দর পরিদর্শন করেন ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙা ধরলার পাড় সৈয়দ ফজলুল করিম জামিয়া রহঃ ইসলামিয়া মাদ্রাসা পাশে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রি ভুটানের ডিজি চ্যামিটেসরিন, চীফ ট্রেড অফিসার কিনলে ইয়াংজন, ভুটানের ঢাকা এ্যাম্বাসির কাউন্সিলর জিকরেল টাসরিন, বেজার মহানব্যবস্থাপক (অর্থ বাজেট) শেখ মোঃ যোবায়েদ হোসেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, ভোগডাঙা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান প্রমুখ।
পরিদর্শন শেষে ভুটানের রাষ্ট্রদ্রুত রিনচেন কুয়েনসিল বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে এ জায়গাটি প্রাথমিকভাবে নির্ধারন করা হয়েছে।আমার বিশ্বাস এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি ভুটান উপকৃত হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নে আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, আমরা ১৩৩ দশমিক ৯২ একর জমি বেজার কাছে হস্তান্তর করেছি।আরো ৮৬ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব আছে।জেলায় সোনাহাট স্থল বন্দর, তুরাগ স্থল বন্দর চিলমারী নৌবন্দর ও পাওয়ার স্টেশন কাছে থাকায় এটি মোটামুটি উপযুক্ত স্থান।সরকার আশা করছে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে শিক্ষা সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।আমরা এটির বাস্তবায়নে চেষ্টা করছি।
উল্লেখ যে, কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙা ইউনিয়নের মাধবরাম মৌজার অন্তর্ভুক্ত ১৩৩ দশমিক ৯২ একর খাস জমি অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। ধরলা ব্রিজের পূর্ব প্রান্তে সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার উত্তর-পূর্ব দিকে এই খাস জমির অবস্থান। প্রয়োজনে ওই স্থানে জমি অধিগ্রহণেরও সুযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।আর এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ ভুটানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।এছাড়া জেলার সোনাহাট স্থল বন্দরের কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে। ভারতের সাতটি রাজ্যের সাথে ব্যবসায়ীক দাঁড় উন্মোচিত হবে। এতে জেলার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এগিয়ে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন,
অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন
কার্যক্রম সম্পন্ন হলে স্থানীয়সহ অনেক লোকের বেকারত্ব দুর এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
এতে আমাদের পিছিয়ে পড়া জেলার অনেকটা উন্নয়ন হবে।
Leave a Reply