আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সৌদি আরবের জেদ্দা বন্দর নগরীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপদূতাবাসের (কনস্যুলেট) বাইরে বন্দুকধারীর গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন নেপালি নিরাপত্তারক্ষী এবং অপরজন বন্দুকধারী।
বুধবার মার্কিন ও সৌদি আরবের কর্মকর্তারা ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। হামলার তদন্ত চলমান।
বন্দুকযুদ্ধে কোনো মার্কিন নাগরিক আহত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। তবে, এটি যোগ করেছে, ‘তদন্তের স্বার্থে মার্কিন দূতাবাস এবং কনস্যুলেট সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
মক্কা অঞ্চল পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘একটি গাড়িতে থাকা ব্যক্তি জেদ্দা গভর্নরেটের আমেরিকান কনস্যুলেট ভবনের কাছে থামে এবং তার হাতে একটি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন অনুযায়ী তাকে মোকাবেলা করার উদ্যোগ নেয় এবং গোলাগুলির ফলে তার মৃত্যু হয়।’
সৌদি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর খবর দিয়েছে। তিনি কনস্যুলেটের ব্যক্তিগত নিরাপ©ঽ ত্তার অংশ ছিলেন।
লোহিত সাগর বন্দর নগরীতে অবস্থান মার্কিন কনস্যুলেটের। এ অঞ্চলে ৪৭ লাখের বেশি লোকের বাস। ২০১৬ সাল এবং এর আগেও এটি সহিংসতার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল। সে বছর নিরাপত্তা কর্মীরা কনস্যুলেটের রাস্তার ওপারে ড. সুলেমান ফকিহ হাসপাতালের পার্কিং লটের কাছে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করেন।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, যখন তারা ওই ব্যক্তির কাছে যায়, তখন সে আত্মঘাতী বেল্ট দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে বোমা হামলাকারী নিহত ও দুইজন আহত হয়।
জেদ্দার কনস্যুলেটকেও ২০০৪ সালে হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। সেসময় পাঁচজন লোক আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক নিয়ে ভবনটি ভাঙতে দেখা গিয়েছিল।
ঘটনায় কনস্যুলেটের বাইরে চার সৌদি নিরাপত্তাকর্মী এবং ভেতরে পাঁচজন কর্মী নিহত হয়েছিলেন। সে সময় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি বাহিনী পৌঁছানোর আগেই ১৮ জন কর্মচারী এবং ভিসা আবেদনকারীকে ক্ষণিকের জন্য জিম্মি করে রাখা হয়েছিল।
পাঁচ হামলাকারীর মধ্যে তিনজনও ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাকি দুজন আহত হন। ২০১৩ সালে সৌদি আরবের একটি আদালত ২০০৪ সালের হামলায় ভূমিকার জন্য একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং আরও ১৯ জনকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়। হামলার জন্য আল-কায়েদাকে দায়ী করা হয়েছিল।সূত্র :আল-জাজিরা।
Leave a Reply